নিজস্বতিবেদক//
গত২১জুলাই ঈদ উল আযহার পর ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নের ফয়জল হকের শিশু কন্যা সুমাইয়া( ৬) তার নানার বাড়ি বৈলর ইউনিয়নের সরদার বাড়ি তার মামার সাথে বেড়াতে আসেন।
মেয়েটির তথ্যমতে ২৯ জুলাই মেয়েটি তার মামার বাড়ি অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলা করতে গিয়ে তার নানার বাড়ি রাস্তা ভুলে গিয়ে বাড়ি না পেয়ে দৌড়াতে থাকেন। বিকেল ৩টায় কান্না করে, করে ধানীখোলা বাজার আসলে বাজারে থাকা মানুষ গুলোর চোখে নজরে পড়ে।
অনেক মানুষ ঝড়ো হয়ে মেযেটির পরিচয় জানতে চাইলে মানুষ দেখে শিশু বাচ্চাটি ভয়ে আরো কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শুধু এইটুকু বলে নানীর বাড়ি যাবো তার নানীর বাড়ির কাছে একটি মরিচ ভাঙ্গানো মিল ও ফুল বাগান আছে। ঠিক ঐ সময় পেশাগত কাজে ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফকরুদ্দীন আহমেদ ও দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার ত্রিশাল প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ধানীখোলা বাজারে গেলে এই ঘটনাটি দেখতে পান। কিছু মানুষ বাচ্চাটি একটি ভ্যানগাড়িতে চড়িয়ে ছুটে চলতে চাচ্ছেন মেয়ের ঠিকানা খোঁজতে।
উপস্থিত সাংবাদিক মেয়েটি জনগনের কাছ থেকে উদ্ধার করে আদর দিয়ে একটা রুটি কিনে খেতে দিয়ে তার মুখ থেকে কিছুটা পরিচয় বের করেন।শুধু এইটুকু বলতে পারে তার বাবার নাম ফয়জল। কিছুক্ষণ পর বালিপাড়া ইউনিয়নের নাম বলতে পেরেছে।
সাংবাদিকদের দীর্ঘ সময় চেষ্টায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্কুল ও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নাম শোনালে হঠাৎ বালিপাড়া ইউনিয়ের ধলা ও যে স্কুলে পড়ে সেই স্কুল চিনতে পারেন। ঠিকানা পাওয়া শেষ হলে হঠাৎ একটি লোক এসে উপস্থিত হন এবং বলেন,এই বাচ্চা আমাদের অনেক সময় ধরে সবাই মিলে খোঁজতে বের হয়েছি। পরে বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছেন আমার খালু পরে উপস্থিত জনতার সামনে বৈলর এলাকার কাদির সরদার বাড়ি তার খালু মোঃ রিয়াজুলের হাতে উপস্থিত জনতার মুখোমুখি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফকরুদ্দীন আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম বাচ্চাটি বুঝিয়ে দেন।